বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:২২ পূর্বাহ্ন

ফরিদপুরের নির্মাণ শ্রমিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ধর্মমন্ত্রী

মো. সামাদ খান, ফরিদপুর সংবাদদাতা ।।
ফরিদপুরের মধুখালি উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে কালিমন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনার জেরে স্থানীয় লোকজন কর্তৃক পাশের বিদ্যালয়ে কাজ করতে থাকা দুজন নির্মাণ শ্রমিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে বারোটায় তিনি পরিদর্শন করেন।

নিহত দুইজনের প্রত্যেককে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এক লাখ টাকা করে দুই লাখ টাকা এবং আহতদের ২৫ হাজার টাকা করে প্রদান করা হবে বলে মন্ত্রী জানান।

তিনি মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের চোপের ঘাট গ্রামে নিহতের পরিবারের সাক্ষাৎ এবং ডুমাইন ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামে ঘটনাস্থল পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন কালী মন্দির পরিদর্শন করেন। এ সময় নিহত দুই ভাইয়ের বাবা মায়ের সাথে কথা বলেন। পরে চোপেরঘাট কবরস্থানে নিহতদের কবর জিয়ারত করেন মন্ত্রী।

এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ধর্মমন্ত্রী ‌ফরিদুল হক খান নিহত এবং আহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানান। মন্দিরে অগ্নিকাণ্ড ও পিটিয়ে দুইজনকে হত্যার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের কঠোর শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে অপরাধী যেই হোক তাকে ছাড় দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, এই ধরনের অপকর্ম যেনো আর কেউ না ঘটাতে পারে। অন্য অন্যকোথাও যেনো এমন ঘটনা করার সাহস তারা না পায়। তারা হিন্দু মুসলমান যেই হোক আমাদের এই বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক। আমরা এখানে সবাই মিলেমিশে ঐক্যবদ্ধভাবে বসবাস করি। আমরা চাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। এ দেশে যেন কোনো অঘটন কিছু না ঘটে এই জিনিসটা আমাদের বিবেচনায় আনতে হবে।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ন্যায়বিচারের স্বার্থে যা দরকার দ্রুততম সময়ের তাই করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মো. মোরশেদ আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ, মধুখালি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামনুন আহমেদ অনিক, ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ মো. তপনসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং সাংবাদিকবৃন্দ।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মন্দিরটির রক্ষণাবেক্ষণকারী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা একটি মামলা করেছে অপরদিকে নিহতের পিতা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা করেছে এবং পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় মধুখালী থানার আরেকটি মামলা হয়েছে।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম জানায়, এ ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।.

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com